সংবাদ সারাদিন, বালুরঘাট:বর্ষাকাল আসন্ন। আর তার জেরে চলছে লাগাতার বৃষ্টি। ফলে ক্রমাগত বাড়ছে বালুরঘাট শহর ঘেঁষে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী নদীর জল। এদিকে নদীর জল বাড়তেই বেড়েছে বালুরঘাট শহরের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রেয়ী খাঁড়ির জলও ।
সোমবার জল বাড়তেই বালুরঘাট শহরের সাত নম্বর ওয়ার্ডের দিশারি ক্লাব সংলগ্ন খাঁড়ি বাঁধ পরিদর্শন করলেন বালুরঘাট পৌরসভা, সেচ দফতর ও দমকল বাহিনীর আধিকারিকেরা।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টিতে জল বেড়েছে জেলার নদীগুলির। আত্রেয়ী নদীর জল খাঁড়ি দিয়ে ঘাটকালী, আত্রেয়ী কলোনীতে ঢুকে পড়েছে। যার জেরে শহরের বেশ কিছু পরিবার ঘরছাড়া হয়ে বাঁধের উপর আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে আত্রেয়ী নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন শহরের এ কে গোপালন কলোনির বাসিন্দারা। খাঁড়ির জল ঢুকতে শুরু করেছে বাড়িতে।
এদিন জল নিকাশি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে খাঁড়ির বাঁধ পরিদর্শন করে বালুরঘাট পৌরসভা, সেচ দফতর ও দমকল বাহিনীর আধিকারিকেরা।
এদিকে বাংলাদেশ উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারি বৃষ্টির কারণে আত্রেয়ী, পুনর্ভবা ও টাঙন নদীর জলস্তর আরও বাড়বে বলে শেষ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। গতকাল থেকে এক নাগারে বৃষ্টির কারণে নদী তিরবর্তী কিছু কৃষিজমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। বহু এলাকা, রাস্তাঘাট জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। যার ফলে বন্যার আশঙ্কায় ভুগছেন নদী তিরবর্তী গ্রামের বাসিন্দারা।
এদিকে দিশারি ও এ কে গোপালন কলোনি এলাকায় পাম্প দিয়ে জলসেচ করার কোনরূপ উপায় না পেয়ে ফিরে এসেছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের আধিকারিকরা।
এবিষয়ে এলাকাবাসী উজ্জ্বল কুমার দাস জানান, পাম্পের মাধ্যমে জল বের করলে বেশ কিছু ওয়ার্ড ভুক্তভোগী হবে। বিষয়টি তারা পৌরসভা ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের জানালে বিষয়টি বুঝতে পেতে তারা সেখান থেকে চলে যান।
অন্যদিকে এবিষয়ে সেচ দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার স্বপন কুমার বিশ্বাস বলেন, “আত্রেয়ী জল এখনও বিপদসীমার খানিকটা নীচে রয়েছে। যেহুতু পাহাড় ও বাংলাদেশে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। তাই আগামীতে জলস্তর আরও বাড়বে। কোনও ভয়ের কিছু নেই। এদিকে আত্রেয়ী খাঁড়ি এলাকার মানুষজনের বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে। সেখানে পাম্পের মাধ্যমে জল কমানো যায় কিনা আমরা দেখছি।”