সংবাদ সারাদিন, তপন: রাতের বেলা পুলিশি টহলের সময় এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হলেন এক পুলিশ কর্মী। দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন থানার ঘটনা। আহত পুলিশ কর্মী অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর পদে রয়েছেন। নাম বিজন কুমার চৌধুরী। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুরের হাইস্কুল পাড়া এলাকায়। তিনি তপন থানায় বর্তমানে কর্তব্যরত রয়েছেন৷ এদিকে গুরুতর জখম অবস্থায় তিনি বর্তমানে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তির নাম হাসের সরকার। বাড়ি তপনের রামনগর এলাকায়। তাকে থানা নিয়ে এসে রেখেছে পুলিশ৷
পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে তপন হাসপাতাল এলাকায় পুলিশি টহল দেওয়ার সময় এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি আচমকাই ওই পুলিশকর্মীর উপর চড়াও হয়। ঘটনায় চাকু দিয়ে আঘাত করা হয় পুলিশ কর্মীর বাঁ চোখের উপরে। অল্পের জন্য চোখ বেঁচে যায়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন তিনি৷ সঙ্গে সঙ্গে গভীর রাতেই ওই পুলিশ কর্মীকে চিকিৎসার জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাকে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভরতি করা হয়। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ক্ষতস্থানের ভেতরে ও বাইরে ছটি করে সেলাই পড়েছে। বর্তমানে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে তপন থানায় নিয়ে এসেছে তপন থানার পুলিশ। ওই ব্যক্তির চিকিৎসার পাশাপাশি হোমে পাঠানোর ব্যবস্থা করছে পুলিশ।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিদের ছেলে ফিরোজ সরকার জানান, তার বাবা ২৫ বছর ধরে মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চলছে বহরমপুরে। গতকাল বাড়িতে তার মা ছিল না। সেই সময় বাড়ির বাইরে চলে আসে। আর ঠিক সে সময় কি হয়েছে তা তাদের জানা নেই। আজ সকালে তপন থানার পক্ষ থেকে জানতে পারেন তার বাবা কোন পুলিশকর্মীকে আঘাত করেছে।
এদিকে জখম ওই পুলিশ কর্মীর পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে তিনি বালুরঘাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গতকাল রাতে ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল তা এখনও তাদের কাছে পরিষ্কার নয়।
এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই পুলিশকর্মীর অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পাশাপাশি মানসিক ভারসাম্যহীনকে নিয়ে আসা হয়েছে থানায়। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তারা।