এবার বালুরঘাট, প্রেমিকের বাড়িতে ধরনায় প্রেমিকা

সংবাদ সারাদিন, বালুরঘাট : বছর ছয়েক আগে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে। তারপর কেটে গেছে ছয় ছয়টা বছর। এখনও স্ত্রী হিসেবে মেনে নেয়নি পরিবার। অবশেষে মঙ্গলবার স্বামীর বাড়িতেই ধর্ণায় বসল যুবতি। বালুরঘাট থানার বাউল মল্লিকপুর এলাকার ঘটনা। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। যুবকের পরিবারের দাবি মিথ্যে কথা বলছে ওই যুবতি। মিথ্যে বলে তাদের ছেলেকে রেজিস্ট্রি কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিল। এদিকে ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত রাকেশ কুমার বক্সি।

বছর আটেক আগে প্রেম তারপর ২০১৩ সালে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করে। ২০১৫ সাল অবধি সংসার করে বলে যুবতির দাবি। টাকা ও গয়নার জন্য ওই সময় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। অবশেষে আজ স্বামীর বাড়িতে ধর্ণায় বসে ওই যুবতি। যতক্ষণ না তাকে মেনে নেওয়া হচ্ছে সে উঠবে না। আজ বাপের বাড়ি থেকে তাকে বের করে দেওয়া হয়। তার পরই ধর্ণায় বসে সে।

এবিষয়ে ধর্ণায় বসা যুবতী জানান, বছর আটেক ধরে তাদের প্রেম। এরপর ২০১৩ সালে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করে। দু’বছর স্বামীর সঙ্গে সংসার করে। ২০১৫ সালে নগদ টাকা ও সােনার দাবি জানায় শ্বশুরবাড়ির লােকজন। সেই দাবি মত জিনিস দিতে না পারায় তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই বাপের বাড়িতে রয়েছেন তিনি। আস্থা কিভাবে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয় সঙ্গে বলে দেওয়া হয় যাকে বিয়ে করেছিস তার বাড়িতে গিয়ে থাক। তাই সে স্বামীর বাড়িতে ধর্ণায় বসেছে। স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে চায়। তবে এখন তাদের কোন সন্তান নেই। তার দাবি মানা না হলে সে ধর্ণা থেকে উঠবে না।

অন্যদিকে রাকেশ কুমার বক্সীর বাবা গৌড় কুমার বক্সী জানান, যুবতী যে সব দাবি করছে তার সবকিছুই মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। জাতিগত শংসাপত্র সই করানাের নামে গাছ তলায় রেজিস্ট্রি পেপারে সই করিয়ে নেয় তার ছেলের। যে সময়ে রেজিস্ট্রি হয় তার ছেলের বয়স ১৯ বছর ৮ মাস ছিল। ২১ বছর না হয় সেই রেজিস্ট্রি গ্রাহ্য হয়নি। এরপর আদালতে মামলা চলছে।

আদালতের মামলার রায়ে যা দেবে তাই মাথা পেতে নেবেন তারা। সে ক্ষেত্রে ওই যুবতীকে পুত্রবধূ করে নিতে হল তা তারা করে নেবেন। আজ হঠাৎ কোন প্রলােভন বা কারাে পাল্লায় পড়ে তাদের বাড়িতে এসে বসে পড়ে ওই যুবতি।

Spread the love