বাঙালির বিশ্বজয়, অমর্ত্য সেনের পর ফের অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

সংবাদ সারাদিন, ওয়েবডেস্ক:অর্মত্য সেনের পর এবার অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন ফের এক বাঙালি। আমেরিকায় বসবাসকারী ওই প্রবাসী বাঙালির নাম অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তাঁর নাম ঘোষণা করা হয় নোবেল কমিটির তরফে। তবে ২০১৯ সালের অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার মোট তিনজনকে দেওয়া হচ্ছে। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও যৌথভাবে এই পুরস্কার পাচ্ছেন তাঁর স্ত্রী এসথার ডাফলো ও মাইকেল ক্রেমার।

বিশ্বব্যাপী দারিদ্র দূরীকরণের জন্য বিরল গবেষণা করার পুরস্কার পাচ্ছেন ওই তিন অর্থনীতিবিদ। ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন বাঙালি অর্থনীতিবিদ অর্মত্য সেন। তার ঠিক ২১ বছর বাদে নোবেল পুরস্কার পেলেন তাঁর অন্যতম প্রিয় ছাত্র অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার এপ্রসঙ্গে রয়্যাল নোবেল কমিটির তরফে জানানো হয়, গত দু’দশক ধরে দারিদ্র দূরীকরণের জন্য নিরলস গবেষণা করছেন ওই তিনজন। তাদের নতুন পরীক্ষা-ভিত্তিক পদ্ধতির জন্য অনেক পরিবর্তন এসেছে উন্নয়নের অর্থনীতিতে। এর মাধ্যমে গবেষণার নতুন নতুন দিক খুলে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সারা বিশ্বের ৭০ কোটি মানুষ অতি দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করছেন। প্রতিবছর ৫০ লক্ষের বেশি শিশু তাদের পাঁচ বছরের জন্মদিনের আগেই প্রাণ হারাচ্ছে। এই অবস্থায় তিনজন অর্থনীতিবিদের গবেষণা তাদের জীবনের মানোন্নয়নে সহায়ক হবে। সেই কারণে তাঁদের নাম নোবেল পুরস্কারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।

এই খবর পাওয়ার পরেই টুইট করে অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিনন্দন জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লেখেন, ‘কলকাতার সাউথ পয়েন্ট স্কুল ও প্রেসিডেন্সি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আরেকজন বাঙালি দেশ সম্মানিত করলেন। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত।’

১৯৬১ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবা দীপক বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রধান। আর মা নির্মলাদেবী ছিলেন সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোশ্যাল সায়েন্সেস, কলকাতার অর্থনীতি বিভাগের একজন অধ্যাপক। বাবা ও মা দু’জনেই অর্থনীতির মানুষ হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই এই বিষয়ের প্রতি আকর্ষণ ছিল অভিজিৎবাবুর। তাই সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পালা সাঙ্গ করে প্রেসিডেন্সি কলেজে অর্থনীতি নিয়ে ভরতি হন। সেখান থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে বি.এস ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৮৩ সালে দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এম.এ পাশ করেন। ১৯৮৮ সালে পিইচডি করার জন্য ভরতি হন ইংল্যান্ডের হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে তিনি আমেরিকার বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান এমআইটির ফুড ফাউন্ডেশনের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।(তথ্য সৌজন্যে: প্রতিদিন )

Spread the love