করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধাকে নিয়ে ফাঁপরে পড়ল দ. দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতর

সংবাদ সারাদিন, বালুরঘাট: করোনা এক আক্রান্ত বৃদ্ধাকে নিয়ে ফাঁপরে পড়ল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার স্বাস্থ্য দফতর। সকাল থেকে বালুঘাট শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়ে পৌরসভার দ্বারস্থ হন ওই বৃদ্ধা। অবশেষে শনিবার বিকেলে ওই বৃদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য সেফ হোমে নিয়ে যায় স্বাস্থ্য কর্মীরা। এর পরে হাঁপ ছেড়ে বাঁচে জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও বালুঘাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।

জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধার বাড়ি গঙ্গারামপুর থানার কাদিঘাট এলাকায়। বৃদ্ধার বয়স প্রায় ৭৫ বছর। স্বামী অনেকদিন আগেই গত হয়েছে। এক মেয়ে তারও বিয়ে হয়েছে বালুরঘাট খিদিরপুর এলাকায়। গত ১৩ আগস্ট মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে আসা রিপোর্ট অনুযায়ী ওই বৃদ্ধা করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর গত ১৪ তারিখ স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই বৃদ্ধার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ওই বৃদ্ধা একাই বাড়িতে থাকায় তিনি সেফ হোমে না গিয়ে বাড়িতেই থাকবেন বলে স্বাস্থ্যকর্মীদের জানান।

অভিযোগ, ওই বৃদ্ধা নিজের বাড়িতে থাকতে চাইলে প্রতিবেশীরা আপত্তি জানায়। এরপর এদিন সকালে ব্যাগ পত্র নিয়ে মেয়ের বাড়ি থাকবেন বলে বেসরকারি বাসের করে বালুরঘাটে আসেন তিনি। এদিকে বালুরঘাটে আসার পর থেকেই বিপাকে পড়েন ওই বৃদ্ধা। মেয়ের বাড়ি যেতে চাইলেও তিনি যেতে পারেননি। এদিকে বালুরঘাটে আসার পর অনেকেই জেনে গেছেন তিনি করোনা পজেটিভ। এরপরে স্থানীয় কয়েকজন ওই বৃদ্ধাকে বালুরঘাট পৌরসভার সঙ্গে যোগাযোগ করা কথা বলেন। সেইমতো তিনি ব্যাগ পত্র নিয়ে পৌরসভায় আসেন।

এদিকে বালুরঘাট পৌরসভায় এসে তিনি বলেন, “করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তার কাছে কাগজপত্র রয়েছে। নিজের বাড়িতে থাকতে পারেনি। তাই ভেবেছিলেন খিদিরপুরে মেয়ের বাড়িতে থাকবেন। তবে সেটাও হয়নি। তাই এখন তিনি পৌরসভার দ্বারস্থ হয়েছেন। এদিকে পৌরসভার ভিতর ঢুকে পড়ার পর কর্মীরা জানতে পারেন তিনি করোনা পজেটিভ। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়ায় পৌরসভার কর্মীদের মধ্যে। করোনা পজিটিভ হওয়ার পরও যাত্রিবাহী বাস থেকে সব জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। এরপর পৌর কর্মীরা ওই বৃদ্ধাকে খুনি কার সামনে গেট বন্ধ করে রাখেন। এদিকে ততক্ষণে পুরো বিষয়টি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকুমার দে এবং পৌর কর্তৃপক্ষের নজরে নিয়ে আসেন কর্মীরা। পরে বালুরঘাট পৌরসভার অ্যাম্বুলেন্সে করে ওই বৃদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য হোসেনপুর এলাকার ইয়ুথ হোস্টেল বা সেফ হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন বালুঘাট পৌরসভার কর্মী থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা। 

এবিষয়ে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুকুমার দে জানান, “খবর পেয়ে ওই বৃদ্ধাকে চিকিৎসার জন্য সেফ হোমে নিয়ে যাওয়া হয়।”

Spread the love