বিজেপি নয় রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি : দিলীপ ঘোষ

সংবাদ সারাদিন, বালুরঘাট : বিজেপি নয় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি ৩৫৬ নম্বর ধারা জারি করা অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি শাসনের আবেদন করছেন। কারণ এতে তৃণমূল সুবিধা পাবে। বিজেপি চায়না রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হোক। সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে এমন মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি আরও বলেন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের ৫০টি আসনে জয়ী হবে বিজেপি।

প্রসঙ্গত, সোমবার দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের পতিরামে দিলীপ ঘোষের জনসভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই কর্মসূচিতে যোগ দিতেই গতকাল রাতে জেলায় আসেন রাজ্য সভাপতি। গতকাল গঙ্গারামপুরের একটি বেসরকারি লজে ওঠেন। এদিকে আজকের জনসভা ও যোগদান কর্মসূচির আগে তিনি এদিন সকালে জেলার গঙ্গারামপুরের চৌপথি তে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। চা চক্র থেকে একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন তিনি। এদিন তিনি বলেন মমতা ব্যানার্জির নতুন নাটক- আমাকে খুন করবে আমাকে জেলে ভরো। এটা আমরা কোনও মতেই হতে দেব না। আর দিদিমণিকে খুন করতে যাবেই বা কেন। উনি বাঁচুন৷ ১০০ বছর বাঁচুন৷ নিজের সোনার বাংলার ধ্বংস হতে দেখবেন। সিমপ্যাথি ভোট কুড়ানোর প্রচেষ্টা করছে দিদিমণি। ডিসেম্বরের মধ্যে তৃণমূলে বড় ভাঙন ঘটবে।

তিনি আরও বলেন কল্যাণ বানার্জি জোকার। প্রতিটা সার্কাস দলে একটা করে জোকার থাকে। আর তৃণমূলের জোকার কল্যাণ ব্যানার্জি। এছাড়াও এদিনের চা-চক্র থেকে তৃণমূল নেতাদের হুঁশিয়ারি দেন তিনি, যেভাবে তাদের দলীয় কর্মী সমর্থকদের মারা হচ্ছে, তারাও এর জবাব দিতে পারেন। আর তারা মারলে হাসপাতাল অবধি যেতে হবেই। প্রয়োজনে আইন ভেঙে তারা মারবেন।

অন্যদিকে এদিনের জনসভা থেকে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, টেট ও এসএসসিতে যারা টাকা নিয়েছে সেই সব তৃণমূল নেতাদের ল্যাম্পপোস্ট ও গাছে বেঁধে রাখুন। যতদিন না টাকা দিচ্ছেন ততদিন ছাড়বেন না৷ এছাড়াও তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হিসেব চাওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন শৌচালয় তৈরি, বাড়ি তৈরির টাকা কেন্দ্র সরকার দেয়। তাই সেই হিসাব কেন্দ্র সরকার চাইতেই পারে। পাশাপাশি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন বাংলায় সরকারি প্রকল্পের টাকা পেতে গেলে বিজেপিকে আনতে হবে। আমফান থেকে শুরু করে সবকিছুতেই দেখা গেছে সরকারি টাকা তৃণমূলের নেতা, নেত্রী ও ভাইপোর একাউন্টে ভুল করে ঢুকেছে। এছাড়াও একাধিক বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি বর্তমান শাসক দলকে কটাক্ষ করেন।

এদিন এই দলীয় কর্মসূচিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি ছাড়াও হাজির ছিলেন বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু, বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় কুমার বর্মণ সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। এদিনের এই কর্মসূচি থেকে গঙ্গারামপুর মৃত বিজেপি কর্মী স্বাধীন রায়ের পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি এদিন বিভিন্ন দল ছেড়ে শতাধিক জন যোগদান করেন বিজেপিতে৷

Spread the love