সংবাদ সারাদিন, পরিতোষ সরকার, মালদা: দশম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল গ্রামের যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনায় জমির মধ্যেই ওই নাবালিকাকে ফেলে পালাই অভিযুক্ত। নাবালিকার সারা শরীরে ব্যাপক আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজির পর আহত অবস্থায় ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করে। ঘটনার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার মানিকচক থানার নাজিরপুর অঞ্চলের লক্ষীকোল গ্রামে। ঘটনায় নির্যাতিতার পরিবারের তরফে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। নির্মম অত্যাচারের পর প্রাণে মারার এমন চেষ্টায় রীতিমতো আতঙ্কিত ওই নির্যাতিতা ও তার পরিবার। ঘটনা জানতে পেরে পরিবারের সাথে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস বিজেপি নেতৃত্বের।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম বাপি মহালদার ওরফে ভোলা(২৫)।লক্ষীকোল গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিতা নাবালিকা নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। বাবা মৎস্যজীবী। এদিন বাবা মাছ ধরতে যাওয়ার পর মাও জমিতে কাজ করতে বেরিয়ে যায়। বিকেল নাগাদ অন্যান্য দিনের মতোই বাড়ির গবাদিপশুর জন্য বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে জমিতে যায় ওই নাবালিকা ঘাস আনতে। সেখানেই ফাঁদ পেতে বসেছিল অভিযুক্ত যুবক বাপি মহালদার। জমিতেই ওই নাবালিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। আর্তচিৎকার নাবালিকা করতে থাকলে প্রাণে মেরে দিতে অভিযুক্ত যুবক ব্যাপক মারধর করে নির্যাতিতা নাবালিকাকে।এরপর স্থানীয়রা ছুটে আসলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক। জমি থেকেই নির্যাতিতা নাবালিকাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্য সহ স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই স্থানীয়দের সহযোগিতায় নির্যাতিতাকে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। মঙ্গলবার রাতেই মানিকচক থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার।
এদিকে ঘটনা জানতে পেরে মানিকচক থানায় ছুটে আসে রাজ্য বিজেপি নেত্রী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী সহ মানিকচক মণ্ডল বিজেপি নেতৃত্ব। পুলিশ প্রশাসনের ওপর চাপ সৃষ্টি করে বিজেপি নেতা নেতৃত্ব। থানা চত্বরে ক্ষোভ প্রকাশ করার সাথে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা না হলে আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন বিজেপি নেতৃত্ব।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরী বলেন, “অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা সামনে এসেছে। এই ছোট নাবালিকার ওপর নির্মম ভাবে অত্যাচার চালানো হয়েছে। নির্যাতিতার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ রয়েছে।আমরা দাবি করছি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনি পদক্ষেপ। মেয়েটির পরিবারের পাশে আমরা রয়েছি। পাশাপাশি এই ঘটনা নিয়ে নিন্দায় সরব হয়েছেন তিনি।”
এদিকে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগের পরে তদন্তে নামে পুলিশ। দ্রুততার সাথে অভিযুক্ত যুবকের রাতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি নির্যাতিতাকে শারীরিক চিকিৎসার জন্য মালদা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে।