প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপি প্রার্থী মতিবুর রহমান

সংবাদ সারাদিন, মালদা: প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী। বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও বিজেপি প্রার্থীর দেহরক্ষীরা পঞ্চায়েত সদস্যের পরিবারের লোকেদের মারধর করেন বলেও অভিযোগ। যদিও প্রচারে বেরিয়ে তৃণমূল তাকেই হেনস্থা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি প্রার্থী মতিবুর রহমান। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার খাড়াগ্রাম এলাকায়। রাতে দু’পক্ষই হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করান। খবর পেয়ে রাতেই এলাকায় বিরাট পুলিশ বাহিনী নিয়ে যান হরিশ্চন্দ্রপুরের আইসি সঞ্জয় কুমার দাস। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার বিকেল থেকেই খাড়াগ্রাম এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। ওই সময় একটি বাড়িতে বাথরুম করতে ঢোকেন তিনি। বাথরুমটি বাড়ির পিছনে। ওই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন বধূ। বাথরুম থেকে বেরিয়ে বধূর ঘরে ঢোকেন বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ, বধূর পরিবার তাকে ভোট দিলে মোটা টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। কিন্তু মহিলা সাফ জানিয়ে দেন যে, তার কাকা শ্বশুর তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, তারা সকলেই তৃণমূল করেন। ফলে অন্য কোনও দলকে ভোট দিতে পারবেন না। এর পরেই তার শরীরে হাত দিয়ে বিজেপি প্রার্থী জোরাজুরি শুরু করেন বলেও অভিযোগ ওই বধূর পরিজনদের। খবর পেয়েই ছুটে আসেন স্থানীয় মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মহম্মদ আলাউদ্দিন। তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে ও তার ভাইপোকে প্রার্থীর দেহরক্ষীরা মারধর করেন। টেনে-হিঁচড়ে তার পোশাক ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী! প্রার্থীকে কোনও রকমে সেখান নিয়ে ফিরে যান দেহরক্ষীরা।

বিজেপি প্রার্থী মতিবুর রহমান জানান, “তৃণমূলের লোকেরা তাকে মারধর হামলা চালিয়েছে। উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।যদিও তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।”

তবে বিজেপির হরিশ্চন্দ্রপুরের অবজার্ভার অনিরুদ্ধ সাহার অভিযোগ, প্রচারের সময় তৃণমূলের লোকেরা প্রার্থীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করে। টানাহ্যাচড়া করে তার পোশাক ছিঁড়ে দেয়। মারধরও করে আমরা কোনও গণ্ডগোল না করে ফিরে আসি। ওই পরিবার মতিবুরের আত্মীয় বলেই বাথরুম করতে গিয়েছিল। তারপরেও পরিকল্পনা করেই প্রার্থীকে হেনস্থা করা হয়।

যদিও গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় তৃণমূল সদস্য মহম্মদ আলাউদ্দিন বলেন, “আমি বাড়িতে ছিলাম না। এসে সব শুনে প্রতিবাদ করি। যে কেউ এলাকায় প্রচার করতেই পারেন। কিন্তু কারও বাড়িতে ঢুকবেন কেন। বিজেপি প্রার্থী বাথরুমের নাম করে ঘরের ভিতরে ঢুকে যায়। পরে জানার পর প্রতিবাদ করতেই তার দেহরক্ষীরা আমাকে মারধর করে। পোশাক ছিঁড়ে দেয়। প্রার্থীকে পালটা মারধরের অভিযোগ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজেপি প্রার্থী সঙ্গে সাত-আটজন দেহরক্ষী নিয়ে ঘোরেন। সাধারণ মানুষ তার কাছে পৌঁছাতেই পারেন না। ফলে তাকে মারধরের মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।”

Spread the love