গাছ থেকে দেওর ও বৌদির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার, চাঞ্চল্য হেমতাবাদে

সংবাদ সারাদিন, হেমতাবাদ: দেওর ও বৌদির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদ ব্লকের শীতলপুর এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মৃত ওই গৃহধূর নাম মুনমুন মাইতি দাস (২৯) ও দেওরের নাম বিশ্বজিৎ দাস (২৫)। এদিন সকালে শীতলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্নে একটি ঝোপের ধারে আম গাছের একটি ডালে দেওর এবং বৌদির ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। খবর জানাজানি হতেই হেমতাবাদ থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই গৃহবধূর স্বামী ভিন রাজ্যে কাজ করে। বাড়িতে এক মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে সংসার চালাত। অপরদিকে মৃত ওই দেওর বিশ্বজিৎ দাসও ভিন রাজ্যের কাজ করেন। লকডাউনের কারণে বাড়িতে এসেছে। তবে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেই এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অনুমান গ্রামবাসীদের।

অপরদিকে গৃহবধূ শ্বশুর ও বিশ্বজিৎ দাসের বাবা জানান, মৃত বিশ্বজিৎ দাসের বাবা ও মৃত গৃহবধূ শ্বশুর তারা দু’জন নিজস্ব ভাই। তাদের দু’জনের বাড়ি আলাদা আলাদা হলেও পরিবারের সব সদস্যদের একে অপরের বাড়িতে যাওয়া আসা আছে। তবে দেওর ও বৌদির মধ্যে কোন সম্পর্ক ছিল কি না তা তারা বুঝে উঠতে পারেননি। হঠাৎ করে এমন ঘটনা ঘটবে সেটা ধারণাও করতে পারেনি তারা। একই সাথে দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ।

ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য মনতোষ রায়, তিনি বলেন, খবর পান দুই জনের এক সাথে ফাঁস লাগানো মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। ওই দুইজন দেওর ও বৌদির সম্পর্ক। মৃতার স্বামী ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছে। এদিকে লকডাউনের কারণে ভিন রাজ্যে দেওর বাড়িতে এসেছে। মনে করা হচ্ছে ভালো বাসার সম্পর্কের জন্য এই দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। পুলিশি তদন্তে সত্ততা বেড়িয়ে আসবে।

Spread the love