গঙ্গারামপুরে বিজেপি’র মহিলা কর্মী ও মেয়েকে মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

সংবাদ সারাদিন, গঙ্গারামপুর: ফের ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা উত্তপ্ত গঙ্গারামপুর। এবার মহিলা বিজেপি কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে আক্রান্তের পরিবারের তরফে। অন্যদিকে পাল্টা তরফেও অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে খবর। যদিও এটি কোন রাজনৈতিক ঘটনা নয় বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা তুলে খরচ করাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে গন্ডগোল বলে তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর সুভাষ চাকি জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে গঙ্গারামপুর শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বেলবাড়ি এলাকার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করা হয়। যেখানে অভিযোগ করা হয় তৃণমূলের প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা বিজেপিনেত্রী ও তার মেয়েকে মারধর করছে। জানা গেছে, আক্রান্ত ওই বিজেপি মহিলাকর্মীর নাম চন্দনা পাল রাজবংশী। অভিযোগ, গতকাল স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর দেবযানী দত্তের নেতৃত্বে প্রায় দশ বারোজন চন্দনা পাল রাজবংশী ও তার মেয়ের উপর হামলা চালায়। এমনকি বেধড়ক মারধর করা হয়। বর্তমানে চন্দনা পাল রাজবংশীর মেয়ে গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে এনিয়ে গতকালই আক্রান্তের তরফে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এতেই জেলা বিজেপির অভিযোগ ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই তাদের কর্মী সমর্থকদের উপর এমন ভাবে অত্যাচার চালানোচ্ছে। গতকাল এমনভাবেই তৃণমূলের নেতৃত্বে বিজেপির মহিলা কর্মীকে মারধর করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে হাসপাতালে যান বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় কুমার বর্মন, সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।

এবিষয়ে বিজেপি রাজ্য কমিটির সদস্য সনাতন কর্মকার জানান, ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর থেকে গঙ্গারামপুরে আক্রান্ত হচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। নানাভাবে বিজেপি কর্মীদের ওপর চড়াও হচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কখনো ঘরছাড়া করা হচ্ছে তাদের। গতকালের ঘটনা সেই একই রকম, যেখানে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপির মহিলা নেত্রী এবং তার মেয়েকে মারধর করা হয়। এনিয়ে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়

অন্যদিকে জেলা তৃণমূলের অভিযোগ, কোন কিছু ঘটনা ঘটলে তার সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ানোটা একটি স্বভাব হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির। এই ঘটনা জানতে পেরে খতিয়ে দেখেছে। যেখানে রাজনীতির কোনো বিষয় নেই। দুটি পরিবারের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা নিয়ে কোন্দল। আর এই ঘটনাকে এই বিজেপির রাজনৈতিক রঙ লাগাচ্ছে।

অন্যদিকে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে জানিয়েছেন, এখানে রাজনৈতিক কোন বিষয় নেই৷ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর টাকা নিয়ে দুই পরিবারের বিবাদ৷ অভিযোগ দুই তরফেই পেয়েছেন। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছেন তারা।

Spread the love