লকডাউন শিথিল হতেই সুস্বাদু ফল তালশাঁসে মজেছে ইটাহারবাসী

সংবাদ সারাদিন, ইটাহার: লকডাউন শিথিল হতেই সমস্ত জায়গার পাশাপাশি ইটাহারবাসীও মজেছে ঋতুকালীন সুস্বাদু ফল তালশাঁসে। শনিনার উত্তর দিনাজপুর জেলার সমস্ত জায়গার পাশাপাশি ইটাহার সদর এলাকার ফুটপাতে পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা গেল তালের শাঁসের দোকানীদের। ইটাহার ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কেউ ভ্যানে আবার কেউ ভূটভূটি গাড়িতে তাল বোঝায় করে এনে ব্যবসা করছেন পেটের দায়ে। এই সুস্বাদু ঋতুকালীন ফলের বেশ চাহিদা থাকায় ইটাহার সদর চৌরাস্তা এলাকার বাজারে তালের শাঁস কিনতে বিভিন্ন দোকানে ভিড় দেখা গেল বহু ফল প্রিয় সাধারণ মানুষদের।

এক একটি তালশাঁস ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হলেও ভিন্ন স্বাদের এই ফল কিনতে পিছুপা হচ্ছেন না ক্রেতারাও। ঋতুকালীন নতুন ফল হাতের মুঠোয় পেয়ে খুশি ক্রেতারা। ইতিমধ্যে লকডাউনে দোকান পাঠ খোলায় সময় নির্ধারন করেছে রাজ্য সরকার। ফলে সেই সময়ের মধ্যে সরকারি নির্দেশিকা মেনেই দোকান করছেন অন্যান্য ফলের মত এই তালশাঁস ব্যবসায়ীরা। কেউ পেশার টানে আবার কেউ লকডাউনে কাজ হারিয়ে বাঁচার তাগিদে সংসার চালাতে বেছে নিয়েছেন এই ঋতুকালীন ফলের ব্যবসা। তবে বিক্রেতারা কেউ লোকালের আবার কেউ বাইরে থেকে তাল কিনে এনে তালশাঁস বিক্রি করছেন ইটাহার সদর এলাকার ফুটপাতে। এমনকি ফুটপাতের পাশাপাশি ভ্রাম্যমান গাড়ি নিয়ে তালশাঁস বিক্রি করতে দেখা গেল ইটাহার বাজারে। লকডাউনের বাজারেও চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি ভালো হওয়ার ফলে লাভের মুখ দেখছেন তালশাঁস ব্যবসায়ীরা।

এই বিষয়ে তালশাঁস ব্যবসায়ীরা জানান, নতুন ফল তালশাঁস তাই চাহিদা ভালোই আছে ইটাহারের মানুষের মধ্যে। বর্তমানে লকডাউন ফলে লোকজন কম আছে তবু বিক্রি ভালো হচ্ছে মোটামুটি লাভও হচ্ছে। এই তাল বাইরে থেকে আসছে। ১০ টাকা করে পিস বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বিক্রি করছি। লকডাউনে কাজ নাই তাই এই নতুন ফল বিক্রি করে সংসার চলছে।

এক ফল প্রিয় ক্রেতা জীবন সাহা জানান, খুব ভালো ফল তালশাঁস। খেতেও খুব ভালো। তাই কিনছি। আর বছরে এক বার এই ফল পাওয়া যায় তাই খেতে তো হবেই। ১০ টাকা করে পিস কিনছি। আর নতুন ফল খেতে তো সবার ভালোই লাগে। লকডাউনের ঘরবন্দি একঘেয়ামো কাটিয়ে এই তালশাঁস যে আপামর সাধারণ মানুষকে একটু হলেও রসনাতৃপ্তি যোগাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

Spread the love