কালিয়াচকে রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে ধুন্ধুমার কাণ্ড, লাঠিচার্জ পুলিশের

সংবাদ সারাদিন, কালিয়াচক: এক রোগীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রবিবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে যায় কালিয়াচক থানার সুজাপুর ডাঙ্গা এলাকাই। অভিযোগ, মালদাতে ওই রোগীর মৃত্যু হলেও তাঁর আত্মীয়রা বহিরাগতদের জমায়েত করে বেসরকারি হাসপাতালটিতে ভাঙচুর করে। এমনকি হাসপাতালের সামনে জাতীয় সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ দেখায় তারা। পথ অবরোধের ফলে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে কালিয়াচক থানার বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে অবরোধকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় পুলিশ বাধ্য হয়েই লাঠিচার্জ করে।

জানা গিয়েছে, সুজাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মোথাবাড়ি থানা এলাকার ছোটো মোহদিপুরের বাসিন্দা আরেফা বিবি প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে ভরতি হন। কিন্তু সেখানে অপারেশনের পর জটিলতা দেখা দেওয়ায় তাঁকে মালদায় স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেই মতো মালদায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হলেও ওই মহিলাকে বাঁচানো যায়নি। এরপরেই মৃত রোগীর আত্মীয়রা সহ বেশ কিছু বহিরাগত তাণ্ডব শুরু করে। হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়। হেনস্তা করা হয় চিকিৎসক এবং কর্মীদেরকেও। বহিরাগতরা জাতীয় সড়কও অবরোধ করে। এরপরেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

মৃতার আত্বীয় আজমাল হোসেন বলেন, আরেফা বিবি গত ২ তারিখ ডাঙার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি হয়, তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন ৩ তারিখ মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। রোগীর আত্মীয়রা তাকে নিয়ে গিয়ে মালদার আর একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি করেন। রবিবার ভোর বেলায় সেই রোগীর মৃত্যু হয়। তখন সে রোগীকে এনে নার্সিংহোমের সামনে জাতীয় সড়কে রেখে পথ অবরোধ করা হয়।

হাসপাতালের এক কর্মী কেতাবুদ্দিন শেখের দাবি, হাসপাতালের সুনাম কালিমালিপ্ত করতেই স্থানীয় কিছু মানুষ ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। তিনি বলেন, ২ আগষ্ট ওই মহিলা প্রসবযন্ত্রণা নিয়ে আমাদের হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। ডাক্তারটিকে বণিকের অধীনে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। সিজারের মাধ্যমে একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালে তাঁর শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাড়ির লোকেরা তাঁকে মালদার একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে ভরতি করলে সেখানেই তিনি মারা যান। আমাদের হাসপাতালের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।

Spread the love