বালুরঘাট শহরের বহু মানুষ ভয়ে ভ্যাকসিন না নেওয়াদের ধরে ধরে দেওয়া হল করোনার ভ্যাকসিন

সংবাদ সারাদিন, বালুরঘাট: রাজ্যের মধ্যে বালুরঘাট পৌরসভা ১০০ শতাংশ ভ্যাক্সিনেশন শেষ করতে আগেভাগেই তোড়জোড় শুরু করেছিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন ও বালুরঘাট পৌরসভা। বেশ কিছুদিন আগেই তিনি একাধিকবার শহরের বিভিন্ন স্তরের মানুষের পাশাপাশি সরকারি কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসন ও বালুরঘাট পৌরসভা। যারা ভ্যাকসিন নেয়নি তাদেরকে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নানা রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ নাম নথিভুক্ত করার পাশাপাশি তাদের করোনা ভ্যাকসিনের স্লিপ তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু অজানা কারণে তারা ভ্যাকসিন নেয়নি। এইসব ব্যক্তিদের একাধিকবার সরকারি কর্মীরা গিয়ে থাকতেন না আবেদন জানিয়েছেন তার পরেও কাজ হয়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুরঘাট শহরের খাদিমপুর গার্লস স্কুল পাড়া সংলগ্ন আদিবাসী পাড়ায় যারা থাকে তাদের ধরে ধরে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরের খাদিমপুর এলাকায় বহু মানুষ এখনো করোনার ভ্যাকসিন নেননি। কেউ ভয়ে আবার কেউ আতঙ্কে ভ্যাকসিন নেননি। এদিকে জেলা প্রশাসন ও বালুরঘাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বালুরঘাট শহরবাসীদের ১০০ শতাংশ ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে। শহরের মোট বাসিন্দা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ভ্যাকসিন দেওয়া শেষ হয়েছে। এদিকে কারা কারা ভ্যাকসিন পায়নি তা নিয়ে একাধিকবার সার্ভে করানো হয়েছে। অভিযোগ, এর পরও বেশ কিছু মানুষ ভয়ে আতঙ্কে ভ্যাকসিন নিচ্ছিলেন না। এমত অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুরে বালুঘাট শহরের খানপুর গার্লস হাই স্কুল সংলগ্ন আদিবাসী পাড়া এলাকায় যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদের ধরে ধরে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। এদিনের এই ভ্যাকসিন ক্যাম্পে হাজির ছিলেন বালুরঘাট সদর মহকুমা শাসক সুমন দাশগুপ্ত নিজে। মূলত যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছিলেন না তাদের কি ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে আজকে। আজ সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জনকে দেওয় হয় ভ্যাকসিন। আগামী দিনে বালুরঘাট শহরের অন্যান্য এলাকায় যারা ভ্যাকসিন নেননি তাদেরকে এই ভাবেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

এবিষয়ে ভ্যাকসিন প্রাপক অনিল হাঁসদা জানান, ভ্যাকসিন নেননি তার প্রধান কারণ ভয় পাচ্ছিলেন। আজ স্বাস্থ্য কর্মী ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা বুঝিয়েছেন এই ভ্যাকসিন নিলে ভয়ের কিছু নেই। তারপর তারা ভ্যাকসিন নেন।

অন্যদিকে এবিষয়ে সদর মহকুমাশাসক সুমন দাসগুপ্ত জানান, বালুরঘাট শহরের বেশ কিছু এলাকার মানুষ করোনার ভ্যাকসিন নেননি। যার মধ্যে খাদিমপুর আদিবাসীপাড়া অনেকেই রয়েছেন। যারা ভ্যাকসিন নিতে ভয় পাচ্ছিলেন বা আতঙ্কিত সেইসব মানুষদের চিহ্নিত করার পর তাদের বুঝিয়ে আজ থেকে ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

Spread the love