সংবাদ সারাদিন, নদিয়া: করোনার চোখ রাঙানিতে গত বছর অনেক কাটছাঁট করতে হয়েছিল উৎসবে। এবার পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় যাবতীয় রীতি-নীতি মেনেই শ্রীরামপুর বল্লভপুরে পালিত হবে রাধাবল্লভের রাসমাত্রা উৎসব। তবে চারদিনের রাসযাত্রা উৎসবে মেনে চলতে হবে সরকার নির্দেশিত যাবতীয় কোভিড সংক্রান্ত গাইডলাইন। নদিয়ার শান্তিপুরের পাশাপাশি এ রাজ্যের প্রাচীনতম রাসযাত্রা উৎসবের অন্যতম হলো শ্রীরামপুরের বল্লভপুরে রাধাবল্লভের রাস। প্রায় ৬০০ বছরের প্রাচীন এই উৎসব। চারদিনের উৎসবের প্রথম দু’দিন রাধাবল্লভ জীউয়ের বিগ্রহকে মন্দির থেকে রাস মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃতীয় দিন রাসমঞ্চে বিগ্রহ রাখা থাকে সারা রাত। চতুর্থ দিন অর্থাৎ গোষ্ঠবিহারের দিন ভোরে বিগ্রহ ফের মন্দিরে ফিরে আসে।
বল্লভপুরে রাস উৎসবের অনন্য বৈশিষ্ট্য হল উৎসবের চার দিন বিগ্রহ স্পর্ষ করতে পারেন সকলে। এখানে কোনও ভেদাভেদ করা হয় না। বছর দশেক আগে পর্যন্তও বিগ্রহ নিয়ে বিশাল শোভযাত্রা বেরত। ভক্তদের বাড়ি বাড়ি ঘোরানো হত বিগ্রহকে। সে সব অবশ্য এখন অতীত। এখন যাবতীয় উৎসব হয় মন্দিরে। শেষ দিনে প্রায় ৫ হাজার লোকের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ হয় যা এখানে ‘বিরাট ভোগ’ নামে পরিচিত।
রাধাবল্লভ মন্দির ট্রাস্টের প্রেসিডেন্ট এবং রাস উৎসবের প্রধান ইজারাদার প্রদোষ চক্রবর্তী জানান, ১৮ নভেম্বর থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে রাস উৎসব। প্রভূত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও ভক্তদের কথা চিন্তা করে উৎসবে কোনরকম কাটছাঁট করা হয়নি। প্রশাসনের সহযোগিতায় কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধ মেনেই রাধাবল্লভের রাস উৎসব হচ্ছে।