সুশ্রী কায়াকল্পে উত্তরবঙ্গের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল

সংবাদ সারাদিন, মালদা: সুপার স্পেশালিটি, মহাকুমা সদর হাসপাতালগুলিকে পেছনে ফেলে সেরা গ্রামীণ হাসপাতাল। শুধু জেলায় নয়, উত্তরবঙ্গের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করল মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন প্রকল্পের অন্তগর্ত সুশ্রী কায়াকল্প পুরস্কারে রাজ্যে ২৪ তম স্থান দখল করল মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল। বিভিন্ন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মহাকুমা সদর হাসপাতালগুলিকে পেছনে ফেলে সেরা মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল। রাজ্য ভিত্তিক সম্মাননা পেতে চলেছে এই গ্রামীণ হাসপাতাল। জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করে খুশিতে আপ্লুত মানিকচক ব্লকের সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরা।

জানা গেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সুশ্রী কায়াকল্প অ্যাওয়ার্ড প্রোগ্রামে রাজ্যের ৩৩৮ জেলা সদর হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, মহকুমা সদর হাসপাতাল ও গ্রামীণ হাসপাতালগুলির নাম যায়। সারা রাজ্যে ৯২.৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়ে রাজ্যে ২৪ তম ,মালদা জেলায় প্রথম এবং উত্তরবঙ্গে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল। মানিকচক হাসপাতালের ধারে কাছেও আসেনি জেলা কোন হাসপাতাল।

আরও জানা গিয়েছে, তিনটি পর্যায়ে বিবেচনার মাধ্যমে পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হয় হাসপাতালগুলিম। ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্ট, পেয়ার অ্যাসেসমেন্ট ও এক্সটারনাল অ্যাসেসমেন্ট এর মাধ্যমে সেরা হাসপাতালের তালিকা তৈরি হয়। রোগী পরিষেবা ,পরিষ্কার পরিছন্নতা, রোগীর প্রতি ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীদের ব্যবহার, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে আগ্রহ, রোগীর বরাদ্দ সরবরাহ খাদ্যের গুণমান প্রভৃতির উপর বিবেচনা করে পুরস্কার দেওয়া হয়। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল রাজ্যের শ্রেষ্ঠ স্থান অধিকার করলেও ৭৭ ও ৭৮ তম স্থান দখল করেছে মালদা জেলার বাঙ্গিটোলা গ্রামীণ হাসপাতাল ও গাজোল গ্রামীণ হাসপাতাল। চাঁচল মহুকুমা সদর হসপিটাল রাজ্য তালিকায় ২০২ নম্বরে এবং ২১২ নম্বরে মিল্কি গ্রামীণ হাসপাতাল।তবে মানিকচক গ্রামীন হাসপাতাল ২৪ তম স্থান পেলেই জেলায় প্রথম। আগামী কিছু দিনের মধ্যে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
মানিকচক গ্রামীণ হাসপাতাল আনুমানিক ১৯৪৭ সালে পথ চলতে শুরু করে। আজও সেই পুরোনো ভবন রয়েছে হাসপাতালে। বর্তমানে এই পুরাতন ভবনে কাজ করেতে খুবই সমস্যার মুখে পরতে হয়চ্ছে স্বাস্থ্যকর্মীদের। এই হাসপাতালের অধীন একাধিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। মানিকচক ব্লকের খুব কাছে ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাজমহল ও আরো গ্রাম থাকার প্রচুর ভিনরাজ্যের মানুষ ভিড় জমায় চিকিৎসার মানিকচক হাসপাতালে। তবে এই হাসপাতালে তুলনামূলক ভাবে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী সংখ্যা কম। এত সমস্যা থাকলেও রোগীর পরিষেবায় কখনো পিছিয়ে পরেনি মানিকচক হাসপাতাল। তার স্বরূপ এই পুরস্কার।
আর এই সাফল্যে বেজায় খুশি মানিকচক ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক হেম নারায়ণ ঝা।

তিনি জানান, পরিকাঠামোগত ও ডাক্তারের অভাব থাকা সত্ত্বেও এই ফল সত্যিই অভাবনীয়। আমাদের কাজ করার আগ্রহ আরও বেড়ে গেল। তিনি আরও বলেন এটা কারও একার চেষ্টা না এটা দলগত চেষ্টার ফল। এইরকম সাফল্যের জন্য তিনি মানিকচক ব্লকের সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। হাসপাতালকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের স্বাস্থ্য কর্মীরা দিনরাত এক করে মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে।

Spread the love