হরিশ্চন্দ্রপুরে উদ্ধার অপহৃত তৃণমূল কর্মীর গলাকাটা দেহ, গ্রেফতার ১

সংবাদ সারাদিন, মালদা: মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কাতলামারি থেকে অপহৃত তৃণমূল কর্মীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার হল। বুধবার বাড়ি থেকে ৫০০ মিটার দূরে মাখনার জলাশয় থেকে তার গলাকাটা দেহ উদ্ধার হয়। এলাকা দখলকে ঘিরে কাতলামারি এলাকায় বাশির ও উনসাহাক গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের। দুই গোষ্ঠীই আপাতত শাসকদলের ছত্রছায়ায় রয়েছে। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম আব্দুল বারিক! সে উনসাহাকের ভাইপো। তাকে বশির ও তার দলবল অপহরণ করেছিল বলে অভিযোগ। এদিন বাশিরের ছেলে সাদ্দামকে নিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সাদ্দামই জলাশয়ে বারিকের দেহ খুন করে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে দেখিয়ে দেয়। বারিকের গলা কাটা ছিল। তার পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে দেহ মিললেও মাথার হদিশ এখনও মেলেনি বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাশিরকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। নেপালে পালানোর সময় নেপাল সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করে এদিন সকালেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কাতলামারির বাসির ও উনসাহাক গোষ্ঠীর বিবাদ তিন দশকেরও পুরনো। এলাকা দখলকে ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একাধিকবার সংঘর্ষ ও গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। গত ১৪ মে শনিবার রাতে বাশির দলবল নিয়ে উনসাহাকের ভাইপো আব্দুর বারিকের বাড়িতে চড়াও হয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। বাধা দেওয়ায় তার স্ত্রী সায়েমা বিবিকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তারপর থেকে বারিকের খোঁজে তল্লাশি চালালেও তার হদিশ মেলেনি। মঙ্গলবার বাশির ধরা পড়তেই তাকে জেরা করে বারিককে খুনের বিষয়ে নিশ্চিত হয় পুলিশ। তারপরেই বাশিরের ছেলে সাদ্দামকে নিয়ে তল্লাশি শুরু হয়। অন্যদিকে তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ সানিয়েছে বিজেপি পাল্টা সাফাই দিয়েছে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর।

নিহতের ভাই সাহেবজান বলেন, বাশির চায় যে ও একাই এলাকায় রাজত্ব করবে। আমরা বাধা দেওয়ায় একাধিকবার আমাদের উপরে গুলি চালানো হয়েছে। আমাকেও একবার গুলি করা হয়েছিল। কোনও রকমে প্রাণে বেঁচেছি।

নিহতের স্ত্রী সায়েমা বলেন, স্বামীকে তো আর ফেরত পাব না। তবে অভিযুক্তদের যেন ফাঁসি হয় এটাই চাই।

হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি হজরত আলি অবশ্য বলেন, ওরা দুপক্ষই তৃণমূল করে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতি নেই। এটা ওদের দুপক্ষের পুরনো বিবাদ। আইন আইনের পথেই চলবে।’’

বিজেপির জেলা সম্পাদক কিসান কেডিয়া বলেন, ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তৃণমূলের বিবাদেই এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ যাতে কড়া পদক্ষেপ করে সেই দাবি জানাচ্ছি।

প্রদীপ কুমার যাদব মালদা জেলা পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে।

Spread the love