সংবাদ সারাদিন, মালদা: ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে মালদার ভবিষ্যৎ অন্ধকার বলে মন্তব্য করলেন দক্ষিণ মালদার কংগ্রেসের বর্ষিয়ান সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। বালির বস্তা দিয়ে কাজ হওয়ায় ভবিষ্যৎ অন্ধকার দেখছি বলে মন্তব্য করলেন গনি পরিবারের বর্ষিয়ান সাংসদ। প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করে ভাঙ্গন রোধের কাজের দৃষ্টি আকর্ষণের করবেন বলে মানিকচকের নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করে বার্তা কংগ্রেস সাংসদের।
মালদা জেলার বরাবরই প্রধান সমস্যা নদী ভাঙ্গন। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবছরই ব্যাপক ভাঙ্গন হয়। কালিয়াচক মানিকচক রতুয়া হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ প্রান্তর মানুষ গঙ্গা নদীর দাপটে প্রতিবছরই বাড়ি ঘর হারায়। এই ভাঙ্গনরোধ করতে ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্য সেচ দপ্তর জোর কদমে বালির বস্তা দিয়ে কাজ চালাচ্ছে। আর এই বালির বস্তার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সাংসদ।
এদিন মানিকচকের নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন ও নদী তীরবর্তী মানুষদের সাথে দেখা করেন দক্ষিণ মালদা লোকসভা কেন্দ্রের কংগ্রেসের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন মানিকচকের প্রাক্তন বিধায়ক মোত্তাকিন আলম সহ কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। গঙ্গা নদীর ভাঙ্গন কবলিত এলাকা ঘুরে দেখার সাথে নদী তীরবর্তী মানুষদের সাথে কথা বলেন বর্ষীয়ান এই সাংসদ।এরপরই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ভাঙ্গনরোধে কাজ নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের ভূমিকাকে তুলধনা করেন।তিনি বলেন, অতীতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ৮০ কিলোমিটার মুর্শিদাবাদের দিকে ও ফারাক্কা ব্যারেজ থেকে মালদা থেকে ৪৮ কিলোমিটার কাজ করবেন। এই নদী ভাঙ্গন জাতীয় বিপর্যয় এর নাম দেওয়া হলেও এখন সেগুলো কিছুই নেই। এখন এই কাজ রাজ্য সরকার করবে কিন্তু টাকা লাগবে অনেক। যখনই কোথাও ভাঙানো হচ্ছে তখনই বস্তা নিয়ে হাজির হচ্ছে রাজ্য সরকার। বস্তায় আপৎকালীন কাজ হলেও স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। নদী থেকে মালদাকে রক্ষা করতে গেলে ভালোভাবে কাজ করতে হবে। বোল্ডার দিয়ে কাজ না হওয়ায় আগামী দিনে আরও খারাপ পরিস্থিতি হবে মালদার।কাজেই আমি মালদার ভবিষ্যৎ খুব অন্ধকার দেখছি।যাইহোক বিগত দিনেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে ভাঙ্গন নিয়ে কথা বলেছি।আবার আমার যাবো প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবো উত্তরবঙ্গের দিকে দৃষ্টি দেওয়ার জন্য।তা না হলে উত্তরবঙ্গ শেষ হয়ে যাবে।
নদী ভাঙ্গনকে কেন্দ্র করে নদী তীরবর্তী পরিবারগুলি চরম দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে বলে জানালেন তারা। তাদের দাবি মাসখানেকের মধ্যে আবারও তীব্র ভাঙ্গন শুরু হবে তখন কোন রক্ষায় হবে না।বছরের পর বছর কাটলেও কেউ ফিরেও তাকায় না।ভাঙ্গনে সর্বস্ব হারিয়েছি আগামীতেও হারাতে হবে বলে আশঙ্কা নদী তীরবর্তী বাসিন্দাদের।