অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পোকা যুক্ত খিচুড়ি বিলি শিশুদের, মানিকচকে ক্ষিপ্ত অভিভাবকদের বিক্ষোভ

সংবাদ সারাদিন, মালদা: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের পোকা যুক্ত খিচুড়ি শিশুদের বিলি করার ঘটনায় ক্ষিপ্ত হল অভিভাবকরা। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার অভিভাবকরা। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় মালদার মানিকচক ব্লকের ধরমপুর বাঁধ এলাকায়। এলাকার অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়াতেই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে যান। পোকা সমেত রান্না করা খিচুড়ি খেয়ে সন্তানেরা অসুস্থ হলে কে নেবে দায় ? ঘটনায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের বিরুদ্ধে উচিত ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন এলাকার অভিভাবকরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ধরমপুর বাঁধ এলাকায় বুড়িয়া টিকার নামক একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। যার দায়িত্ব রয়েছেন ডলি পাল নামে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। মঙ্গলবার এই কেন্দ্র থেকে এলাকার শিশুদের মধ্যে খিচুড়ি ও ডিম বিতরণ করা হয়। অভিভাবকদের অভিযোগ, অতিরিক্ত নিম্নমানের চাল দিয়ে খিচুড়ি রান্না করা হয়েছে।পোকা ভেসে উঠেছে খিচুড়ির উপর।অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে এমনই নিম্নমানের খাদ্য বিতরণের অভিযোগ তুলে সরব হন এলাকার অভিভাবকরা। তবে এলাকাবাসীর কথায় কোনো কর্ণপাত না করে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন কর্মীরা।

স্থানীয় অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীরা প্রতিদিন বিভিন্ন রকম কথা বলে খাদ্য বিতরণ করে না।বেশিরভাগ দিনই বন্ধ করে রেখে দেয়। যে কয়দিন দেই তার জন্য রান্না করার ঘর চরম অস্বাস্থ্যকর। তার কারণে পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি রয়েছে। পাশাপাশি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বারবার প্রতিবাদ করলে কোন রকম কর্ণপাত করনি কর্মীরা। পোকাযুক্ত খিচুড়ি খেলে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়লে এর দায়-দায়িত্ব কে নেবে ? এতেই রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার অভিভাবকরা।

অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ডলি পালের সাথে ফোন মারফত যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নতুন চালের বস্তা এসেছে তাতে হয়তো পোকা থাকতে পারে। প্রতিদিন সমস্ত রকম ভাবে খতিয়ে দেখেই রান্না করা হয়।

এ প্রসঙ্গে মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কবিতা মণ্ডল জানান, ধরমপুর বাঁধ এলাকায় একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খাবার নিয়ে গন্ডগোলের ঘটনা শুনেছি। গোটা বিষয় খতিয়ে দেখে যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায়, প্রশাসন সেভাবেই কাজ করবে।

Spread the love