সংবাদ সারাদিন, মালদা: বন্যার ত্রানেও আমরা ওরা। বিজেপি করায় ত্রাণ থেকে বঞ্চিত বন্যায় সর্বস্ব হারানো পরিবার। ঘটনাই ব্লক দপ্তরে পৌঁছে ক্ষোভ প্রদর্শন করে বন্যায় সর্বহারা পরিবার গুলি। বিজেপির সমর্থক হওয়ায় ত্রাণ থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে তৃণমূলের লোকজন এমনই অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। বিজেপি নেতৃত্বের সাথে বৃহস্পতিবার মানিকচক ব্লক দপ্তরে এসে বিক্ষোভ প্রদর্শন বন্যায় প্লাবিত কয়েকশো পরিবারের। দ্রুত ব্লক প্রশাসন ত্রাণের ব্যবস্থা না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপি নেতৃত্বের।
মালদার মানিকচক ব্লকের মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা গঙ্গার জলে প্লাবিত হয়েছে। অন্যান্য প্লাবিত এলাকায় ত্রান সামগ্রী পৌঁছলেও কোনরকমই ত্রাণ পৌঁছায়নি রামনগর গ্রামে। বারংবার পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও মেলেনি ত্রাণ বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার মানিকচক ব্লক প্রশাসনের দারস্থ হয় জল যন্ত্রণায় ভুক্তভোগী কয়েকশো পরিবার। বিজেপি নেতৃত্বের সাথে ব্লক দপ্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর গ্রামবাসীরা ব্লক বিডিও জয় আমেদ এর সাথে সাক্ষাৎ করেন সমগ্র অভিযোগ তুলে ধরেন বিজেপি নেতৃত্ব। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সহ-সভাপতি সুভাষ যাদব মন্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ মন্ডল সহ দলীয় নেতাকর্মীরা। এই সমস্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বিজেপির সমর্থক হওয়ায় তাদের ত্রাণ থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের।
এ প্রসঙ্গে জেলা যুব মোর্চার জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ যাদব জানান, শাসক দল তৃণমূলের নেতারা পক্ষপাতিত্ব করেছে। বিজেপির পক্ষে থাকা কর্মী ও সাধারণ ভোটারদের ত্রান থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে। তৃণমূলের কর্মীদের এই ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে নিয়ে গিয়ে দলীয় কর্মী সমর্থকদের দেওয়ার সাথে ত্রাণ সামগ্রী বিক্রি করে দেওয়ার মত কাজ চলছে তৃণমূলের। বন্যায় দুর্গত ২৭৬ টি মানুষের তালিকা ব্লক বিডিওর কাছে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত খতিয়ে দেখে ত্রাণ দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছে ভিডিও।আগামী কয়েকদিনে এই পরিবারগুলি প্রাণ না পেলে বৃহত্তর আন্দোলন হবে।
এ প্রসঙ্গে মানিকচক ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি শহিদুল হক জানান, বিরোধীদের কাজই হল বিরোধী কথাবার্তা বলা। দলমত নির্বিশেষে এ রাজ্যের সরকারের পরিষেবা সকল প্রান্তের মানুষের কাছে পৌঁছেছে। যদি কোন দুর্গত এলাকার মানুষ ত্রাণ না পেয়ে থাকে তার জন্য দলগতভাবে আমরাও ব্লক প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখব সমগ্র ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি খতিয়ে দেখে ত্রাণের ব্যবস্থা হোক। তবে যে সমস্ত অভিযোগ তোলা হচ্ছে সমস্তটাই ভিত্তিহীন।