আগেও দু-দুবার চেষ্টা করেছিলেন, শারীরিক ব্যাথা ও যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পতিরামে আত্মঘাতী বৃদ্ধা

সংবাদ সারাদিন, পতিরাম: আগেও দুই দুবার চেষ্টা করেছিলেন৷ তবে অসফল হয়েছিলেন। তৃতীয় বারে সকলের নজর এড়িয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হলেন বছর ৬৭ বৃদ্ধা। দীর্ঘ ১২ বছর ধরে অসুস্থ৷ বহু জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও কোন লাভ হয়নি৷ এক ফোটাও কমে নিয়ে শরীরের বিষ ব্যাথা ও যন্ত্রণা। অবশেষে ব্যাথা যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন ওই বৃদ্ধা। মৃতার নাম গীতা দাস(৬৭)। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পতিরাম থানার আমতলায়। শুক্রবার সকালে বিষয়টি নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পতিরাম থানার পুলিশ। পরে পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পতিরাম থানার পুলিশ।

জানা গেছে, গীতা দাসের স্বামী কালাচাঁদ দাস অনেক দিন আগেই গত হয়েছেন। ছেলে, পুত্রবধূ নিয়ে সংসার৷ পরিবারের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। এদিকে প্রায় ১২ বছর আগে শরীরে ব্যাথা অনুভূত হয়। বিষয়টি বুঝতে পেরেই চিকিৎসা করান বালুরঘাটে। তবে ব্যাথা ভাল নয়। যত দিন গেছে তত ব্যাথা যন্ত্রণা বেড়েছে। ব্যথা যন্ত্রণার জন্য ঘুমোতেও পারতেন না ঠিক করে ওই বৃদ্ধা। জেলা থেকে বাইরে একাধিক জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও লাভ হয়নি কোন৷ এমনকি ঘুমের ওষুধও খেয়েছেন। সেই ওষুধেও হয়নি কোন কাজ৷ শারীরিক অসুস্থতার কারণে এর আগেও দুই দুবার ব্যথা বেদনা থেকে নিস্তার পেতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে তাতে তিনি সফল হননি। এদিকে চিকিৎসা করানোর মত অর্থও দিন দিন ফুরিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে শুক্রবার ভোরে সকলে যখন ঘুমিয়ে বিভোর সেই সময়ে বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন গীতাদেবী৷ এদিকে বিষয়টি নজরে আসতেই খবর দেওয়া হয় পতিরাম থানাকে। পরে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এবিষয়ে মৃতার আত্মীয় চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ব্যথায় ভুগছেন। সারা শরীরে ব্যথা জ্বালা যন্ত্রণার জন্য ঠিক করে ঘুমাতেও পারতেন না। রোজ দিন জেগে থাকতেন। অনেক জায়গায় চিকিৎসা করিয়েও কোন লাভ হয়নি। কমেনি ব্যাথা। এর আগেও এই জ্বালা যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে এদিন ভোরে বাড়িতেই তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন।

অন্যদিকে পতিরাম থানার পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খবর পেয়ে তারা দেহটি উদ্ধার করে তা ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Spread the love