বনধে টোটো চালানোর অভিযোগে টোটোর চাকা কেটে দিল বনধ সমর্থনকারী, উত্তেজনা বালুরঘাটে

সংবাদ সারাদিন, বালুরঘাট: বনধকে উপেক্ষা করেই বালুরঘাট শহরে টোটো চালানোর অভিযোগে এক টোটো চালকের দুটি চাকা রামদা দিয়ে কেটে দিল ক্ষুব্ধ বনধ সমর্থনকারী। এমনকি টোটো চালকের গলায় হাসুয়া ধরে মারধর করে ঘটনায় বনধ সমর্থনকারী বলেই অভিযোগ। ঘটনায় টোটো চালক হাত জোড় করে প্রাণ ভিক্ষা চাইলেন সমর্থনকারীদের কাছে৷ এদিকে অল্পের জন্য রক্ষা পেলে টোটোর যাত্রী সহ চালক৷ সোমবার দুপুরে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট শহরের সাধনা মোড় সংলগ্ন এলাকায়৷ এদিকে বিষয়টি জানাজানি হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বালুরঘাটে।

এরপরই ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ী, টোটো চালক ও জনতা সাধনা মোড় এলাকায় ভাঙা টোটো লাগিয়ে দিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। বনধকে সকলে সমর্থন করলেও কেন তারা ধারালো আস্ত্র নিয়ে শহরে দাপিয়ে বেরচ্ছে? সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ক্ষুব্ধ জনতা। এদিকে সাধনা মোড়ে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা, ডিএসপি হেড কোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ সহ বিশাল পুলিশবাহিনী৷ আসে কম ব্যাট ফোর্সও। রাস্তা অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। এনিয়ে কোন মিমাংসা না করা হলে আগামী দিনে তারা বালুরঘাট শহরে ব্যবসা বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাবেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ বেলা পৌনে একটা নাগাদ বালুরঘাটের দিপালী নগর এলাকা থেকে দুজন যাত্রীকে চাপিয়ে বালুরঘাট হাসপাতালের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তিওরের এক টোটো চালক। পথে সাধনা মোড় এলাকায় বনধ সমর্থক আদিবাসীরা টোটো টিকে আটকে দেয়। হাসপাতালে যাচ্ছেন বলে সমর্থনকারীদের অনুরোধ করলেও তাদের ছাড়া হয়নি। অভিযোগ এরপরই রামদা ও কুড়ুল দিয়ে টোটোর দুটি চাকায় কোপ মারেন সমর্থনকারীরা। অভিযোগ টোটো চালকদের মারধর করেন। এমনকি ক্ষুব্ধ জনতা বনধ সমর্থনকারীদের আটকে বিক্ষোভ দেখায়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ চলাকালীন বনধ সমর্থনকারীদের হাতে অস্ত্র দেখতে পেয়ে ক্ষুদ্ধ জনতা তাদের দিকে তেরে যায়। পুলিশ কোন রকমে উত্তেজিত জানতাকে আটকায়। ঘটনাস্থল থেকে হটিয়ে দেওয়া হয় বনধ সমর্থনকারীদের। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। এসেছে বিশাল কমব্যাট ফোর্স। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় ঘটনাস্থলে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।

বালুরঘাট বাজারে টোটো ভাঙচুরের ঘটনায় বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিবাদ এই বিষয়ে আদিবাসী সেঙ্গেল অভিযানের জেলা নেতা বিক্রম মুর্মু দুঃখ প্রকাশ করলেন। তার বক্তব্য যারা যাত্রীবাহী টোটোর উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা তাদের সংগঠনের কেউ না। তারা ক্রিমিনাল। পুলিশ প্রয়োজন পড়লে যা কিছু ব্যবস্থা নিতে পারে।

Spread the love