সংবাদ সারাদিন, ইটাহার: মহানন্দা নদীর জল ফুলে ফেঁপে ওঠায় ইটাহারের বেশ কয়েকটি গ্রামের একাধিক বাড়িতেই ঢুকে পড়েছে নদীর জল। আর তার ফলে বন্যায় আশঙ্কায় রয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি। ঢুকে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি বন্যার আশঙ্কায় ভুগছে।
শুক্রবার এমনই এক দুর্ভোগের ছবি লক্ষ্য করা গেল ইটাহার ব্লকের মহানন্দা নদী তীরের সুরুন ১ অঞ্চলের বাড়িওল, গোড়াহার সহ গুলন্দর ২ নং অঞ্চলের কয়েকটি গ্রামে।
ইটাহার ব্লকের সরুন ১ অঞ্চলের বাড়িওল গ্রামের নদীর জলে ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দা মিরাজ আলম বলেন, “২০১৭ সালে যেভাবে বন্যা হয়েছিল এবারও সেরকম বন্যা হবে বলে মনে হচ্ছে।
কারণ মহানন্দা নদীর জল ফুলে আমাদের বাড়ি-ঘর আশেপাশের বাড়ি-ঘরে ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাড়িগুলিতে ঢুকে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরেছি।
এমনকি অনেক ফসলের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। এমন অবস্থায় অনেকেই স্কুলে আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনও সাহায্য পাওয়া যায়নি।
এমনকি এলাকার মহানন্দা সংলগ্ন বাঁধের অবস্থা খুবই খারাপ হয়েছে। যেকোন সময় বাঁধ ভেঙে বিপদ হতে পারে। তাই আগের বারের বন্যার মত যেন আমাদের অবহেলা না করা হয় তাই সংবাদ মাধ্যমের মাধ্যমে আমাদের এই অসহায় অবস্থা সরকারের নজরে আনতে চাই। বিগত বছরের বন্যায় এই সব এলাকার মানুষরা নানাভাবে সমস্যায় পড়েছিল। তাই আগে থেকেই সরকারিভাবে সবধরনের সহযোগিতা যেন করে সেদিকেই তাকিয়ে গ্রামের বাসিন্দারা।”
যদিও এই বিষয়ে এলাকার জেলা পরিষদের সদস্যা তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী বিউটি বেগম বলেন, “কয়েক দিনের বৃষ্টির ফলে আমার নির্বাচিত এলাকায় মহানন্দা নদীর জল ফুলে উঠে নদীর ধারের কয়েকটি গ্রামের বেশ কিছু বাড়িতে মহানন্দা নদীর জল ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফসলের জমিরও ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েত সহ আমরা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমনকি ইটাহারের বিধায়ক অমল আচার্য সহ প্রশাসনের নজরে বিষয়টি ইতি মধ্যে আনা হয়েছে। ফলে পরিবারগুলিকে যাতে এই বিপদের সময় সব ধরনের সহযোগিতা করা যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”