বিতর্কিত বালুরঘাট-হিলি রেল পথ সম্প্রসারণ প্রকল্প নিয়ে বিধানসভায় সরব বিধায়ক অশোক কুমার লাহিড়ী

সংবাদ সারাদিন, হিলি: বিতর্কিত বালুরঘাট হিলি রেল পথ সম্প্রসারণ প্রকল্প নিয়ে বিধানসভায় সরব হলেন বালুরঘাটের বিধায়ক ড. অশোক কুমার লাহিড়ী। বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশনে ওই প্রকল্পের জমিজটের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন তিনি। ওই প্রকল্প বাস্তবায়নের দক্ষিণ দিনাজপুরের সুবিধে হবে বলে তিনি অধ্যক্ষের কাছে তদ্বির করে অনুরোধ জানান। এদিকে ওই প্রকল্প নিয়ে রেলমন্ত্রককে দুষে বিধায়ককে খোঁচা তৃণমূলের।

প্রসঙ্গত, বালুরঘাট থেকে হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্প জমিজটে বিগত ১২ বছর ধরে বিশবাঁও জলে। কেন্দ্র রাজ্যের টানাপোড়েন প্রকল্পের বাস্তবায়নের কোনও আশঙ্কা নেই। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে জোরাল দাবি উঠেছে। কয়েকমাস থেকে রেলমন্ত্রী, জেলা শাসক সহ বিভিন্নমহলে দরবার করেছে। বিভিন্ন কৌশলে জোরাল আন্দোলন চলছে। কিন্তু কিছুতেই প্রকল্পের বাস্তবায়ন দেখতে পাচ্ছেন বলেই অভিযোগ তুলছেন মানুষজন।

বৃহস্পতিবার বিধানসভার কক্ষে ওই প্রকল্পের বাস্তবায়নের দাবিতে সরব হলেন বালুরঘাটের বিধায়ক ড. অশোক কুমার লাহিড়ী। অধিবেশনে তিনি রাজ্য সরকারকে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অধ্যক্ষ বিমান বন্ধ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেন। বিষয়টি শোনার পরে অধ্যক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন বলে আশ্বাস দেন বালুরঘাটের বিধায়ককে।

এপ্রসঙ্গে বালুরঘাটের বিধায়ক ড. অশোক কুমার লাহিড়ী বলেন, “ হিলি বালুরঘাট রেল সংযোগের বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম। আমি তৃণমূলকে মনে করিয়ে দিয়েছি, ওঁদেরই নেত্রী মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখনই ১২ বছর আগে হিলি বালুরঘাট রেল প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন। তারপরে ওঁরা বলেন, ওঁরা মা মাটি মানুষের সরকার। জনগণের কল্যাণের জন্য। তাই হিলি বালুরঘাট রেল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রত্যেকের সুবিধে হবে। সবচেয়ে বেশি সুবিধে হবে দক্ষিণ দিনাজপুরের মানুষের। এই প্রকল্পের মাধ্যমে পূর্ব বাংলা ও পূর্ব ভারত, পশ্চিমবঙ্গের সুবিধেও হবে। পাশাপাশি ভারত সরকারেরও। কিন্তু কাজটির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। সেকারণেই রেলমন্ত্রকে চিঠি লেখে জমির মূল্য চেয়ে রাজ্য সরকারকে জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য আর্জি জানিয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষর কাছে অনুরোধ করেছি। “

বিধায়ক ড. অশোক কুমার লাহিড়ীকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকী বলেন, বিধায়ক হিসেবে উনি দাবি বিধানসভা দাবি তুলতেই পারেন। কিন্তু মানুষ ১৯৫৪ সাল থেকে লাগাতার আন্দোলন করে যাচ্ছে। আন্দোলন ফলস্বরূপ মমতা বন্ধ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালে বালুরঘাট হিলি প্রকল্প বরাদ্দ করেছিলেন। কিন্তু জানি না কী কারণে প্রকল্পটি বন্ধ হল। জমি চিহ্নিত করে কালেক্টর তরফে রেলকে অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া দেখতে বলা হয়। রেল ফের নোটিফিকেশন দিয়ে রেল দপ্তর জমি অধিগ্রহণ করবেন। কালেক্টর পিছিয়ে গেলেন। ইদানীং জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া কালেক্টরকে দেখতে বলেন রেল। যোগাযোগ হয়েছে। কেন্দ্রীয় টাকা দেবে। রাজ্য সরকারের যা করণীয় তাই করবে। কিন্তু বিধায়ক দাবি তুলতেই পারেন। তবে অশোক বাবুর সঙ্গে বালুরঘাটের মানুষের কোনও আন্দোলনের যোগাযোগ নেই। উনে শুনে শুনেই দাবিগুলো তুলছেন। তাই দাবিগুলোও সঠিক হচ্ছে না বলেই মনে হয়।

Spread the love