গঙ্গারামপুরে সম্পত্তির লোভে নাতির হাতে খুন দাদু, পুকুর থেকে উদ্ধার পচাগলা মৃতদেহ; গ্রেপ্তার ৩

সংবাদ সারাদিন, গঙ্গারামপুর: সম্পত্তির লোভে নাতির হাতে দাদু খুন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর থানার সুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপাড়ায়। নিখোঁজ থাকার চারদিন পর পুকুর থেকে পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার বৃদ্ধের। সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধের নাতি খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে যে বিষয় নিয়ে শোরগোল পরেছে পুরো গ্রাম জুড়ে। পুলিশ বৃদ্ধের নাতি সহ মোট তিনজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে পুরো তদন্ত শুরু করেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।

জানা গেছে, গৌড়লাল সরকারের স্ত্রী, মেয়ে এবং মেয়ে জামাই অনেকদিন আগেই মারা গেছেন। মেয়ের চার ছেলে রয়েছে। যার মধ্যে একজন অনেকদিন আগেই নিখোঁজ। তিনজনের মধ্যে দু’জন কর্মসূত্রে দিল্লিতে থাকেন। বাড়িতে থাকেন শুধু অমরেশ। একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে কর্মরত ছিলেন। জানা গেছে, গৌড়লাল সরকারের প্রায় ৫ বিঘা জমি রয়েছে। সেই জমি যাতে বাকি ভাইয়েরা না পায় তাই দাদুকে খুনের ছক কষে অমরেশ। এমনি কি দাদুর কাছ থেকে সব জমি সে লিখিয়েও নেয় বলেই সূত্রের খবর। গত শনিবার রাতের বেলা বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান গৌড় লাল। এদিকে পরদিনই আবার অমরেশ থানায় দাদুর নামে নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই দিন রাতেই দাদুকে খুন করে পুরো বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে দেয় অমরেশ। এদিকে বিষয়টি নজরে আসতেই পাড়া প্রতিবেশীরা এনিয়ে অমলেশের নামে মাস পিটিশন দেয় থানায়। এরপরই পুলিশ গতকাল অমরেশ কে আটক করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করতে সে খুনের কথা স্বীকার করে। এরপরই তাকে আজ সকালে নিয়ে গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রামকৃষ্ণ মন্ডল ও ভরত সরকার বলেন, গত শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিল। আমাদের প্রথম দিন থেকেই সন্দেহ ছিল যে তার নাতি তাকে খুন করেছে। প্রথমে পুকুরে খুঁজলেও কোন খোঁজ মেলেনি। আজ সেই দেহ পাওয়া গেছে। শুধু নাতি নয় ওর সঙ্গে পরিবারের আরও অনেকেই যুক্ত রয়েছে। অভিযুক্তের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি অর্থাৎ ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তারা।

অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, এনিয়ে মামলা শুরু হয়েছে। নাতি খুন করেছে এমনটা প্রাথমিক ভাবে অনুমান। এই ঘটনায় মোট তিন জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Spread the love